ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ , ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষকরা

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ০১:২৮:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ০১:২৯:৪২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষকরা ​ফাইল ছবি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ১১ জন নাগরিকের একটি পর্যবেক্ষক দল। তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা তারা পাননি।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে তাদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেখানে পুরো ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে আসক।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, পর্যবেক্ষক দল এ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ঘটেছে কি-না, তা যাচাইয়ে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক। রাতেই জারি করা হয় কারফিউ। পরে কারফিউর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রাথমিক পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে ২২ জুলাই জেলাটি সফর করেন ১১ জন নাগরিক।

তারা হলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, মোশাহিদা সুলতানা, রুশাদ ফরিদী, আইনজীবী সারা হোসেন ও মানজুর আল মতিন, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শিল্পী বীথি ঘোষ, লেখক ফিরোজ আহমেদ ও অধিকারকর্মী নাফিউল আলম। এছাড়া আরও একজন সাংবাদিক ছিলেন, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

আগে থেকে উত্তেজনা
নাগরিক পর্যবেক্ষণ দলটি গোপালগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ প্রশাসন, সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে ১৬ জুলাইয়ের আগের ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়, আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) এবং এনসিপির সমর্থকদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানোর তৎপরতা ছিল।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিক থেকে যেকোনো মূল্যে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করা, সমাবেশে এলে এনসিপির নেতাদের ফেরত যেতে দেওয়া হবে না ইত্যাদি প্ররোচনামূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জবাসীর প্রতি হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্যের নিদর্শন মেলে একাধিক ইউটিউবারের টুঙ্গিপাড়াবিষয়ক হুমকি, এনসিপির একজন নেতার হাতুড়ি নিয়ে যাওয়াবিষয়ক মন্তব্য, আরেকজন নেতা কর্তৃক ভেক্যু ভাড়া জানতে চাওয়া এবং আরও অনেকের তৎপরতায়। “টুঙ্গিপাড়ার কবর ভাঙার” হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও স্থানীয় অনেকে বলেছেন। এর সঙ্গে “মার্চ টু গোপালগঞ্জ” নামকরণের বিষয়টিও গোপালগঞ্জের বেশকিছু ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন। যদিও এনসিপির ছাত্র-সমর্থকরা এই নামকরণের বিশেষ কোনো তাৎপর্য আছে বলে মনে করেন না।

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও সদস্য এবং সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন, তারা আওয়ামী সমর্থকদের প্ররোচনামূলক হুমকির বিষয়টা উল্লেখ করে বলেছেন, এটা উত্তেজনা তৈরি করেছে। এনসিপি সংশ্লিষ্টদের বা সংশ্লিষ্ট বলে অনুমিতদের দিক থেকে প্রচারিত প্ররোচনামূলক বক্তব্য এই উত্তেজনা তৈরিতে কোনো ভূমিকা রেখেছে বলে তারা মনে করেন না।

গোপালগঞ্জে সমাবেশ করার আগে টুঙ্গিপাড়ার মাজারের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া প্ররোচনামূলক বক্তব্যের সঙ্গে এনসিপির কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা প্রচার করা এবং এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করার কোনো উদ্যোগ দলটি নেয়নি। সমাবেশের দিন এনসিপি নেতাদের উত্তেজক বক্তব্য পরিস্থিতিকে গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যায় বলে গোপালগঞ্জের কিছু মানুষ মত প্রকাশ করেন।

ঘটনার বর্ণনা
স্থানীয় জনসাধারণের সাক্ষ্য থেকে পর্যবেক্ষণ দল জেনেছে, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা আসার আগেই ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল গোপালগঞ্জ শহরে সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর করে। এছাড়া পুলিশের একটি গাড়ি পোড়ানো ও স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রচুর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গোপালগঞ্জমুখী বিভিন্ন রাস্তা ধরে “সংগঠিত ব্যক্তিরা” গাছের গুঁড়ি ফেলে পথে পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল।

হামলায় আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টদের যে সচেতন ও সংগঠিত চেষ্টা ছিল, সেটা বোঝা যায় দেশীয় অস্ত্র এবং স্থানীয় পুলিশের দাবি অনুযায়ী, পিস্তলধারীদের সমাবেশস্থলে হামলা করার ঘটনা থেকে। এছাড়া সকালে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে কেন সমাবেশস্থলের মঞ্চ ভাঙচুর হলো, সেটার ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্টতার প্রশ্ন আসে। এই ক্ষেত্রে জননিরাপত্তার জন্য হুমকিকে প্রশাসন ছোট করে দেখেছে।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন নাগরিক পর্যবেক্ষণ দলের কাছে দাবি করেছেন, সমাবেশস্থল থেকে “মুজিববাদ মুর্দাবাদ” স্লোগান স্থানীয় মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। পুরো সমাবেশ মাইকে শোনা ও লাইভে দেখা স্থানীয়দের অনেকেই এই স্লোগানকে হুমকি হিসেবে ধরে নিয়ে সমাবেশস্থলে চলে আসেন বলে স্থানীয় ব্যক্তিদের অনেকে দাবি করেছেন। কয়েকজনের ভাষ্য অনুযায়ী, পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী, সমাবেশ শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাড়িবহর নিয়ে যখন বের হচ্ছিলেন, তখন লঞ্চঘাটের কাছে “উত্তেজিত জনতা” বেপরোয়াভাবে হামলা চালায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট শেষ হয়ে গেলে পুলিশকে বহুবার পিছু হটতে হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, পাশের জেলা থেকে তাদের রসদ ও বাড়তি ফোর্স সংগ্রহ করতে হয়েছে। সরকারি নির্দেশের বাধ্যবাধকতার কারণে তারা চায়নিজ রাইফেল বা কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করেননি। দায়িত্বরত অবস্থায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

হামলার মুখে এনসিপি নেতাদের গাড়ি ঘুরিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। তখন এনসিপি নেতাদের রক্ষাই পুলিশের একমাত্র বিবেচনা ছিল। “জনতা” সেখানেও তাদের ঘেরাও করে।

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নিজেদের দাবি করা ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী, লঞ্চঘাটে জড়ো হওয়া “জনতাকে” ছত্রভঙ্গ করতে সামরিক বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। গুলি চলার পর উত্তেজিত ও মারমুখী “জনতা” ঘেরাওস্থল থেকে পিছিয়ে যায়।

১১ নাগরিকের বিবৃতিতে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের বিষয়ে বলা হয়, সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, নিহত দীপ্ত সাহা গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় নিরস্ত্র ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আরও কিছু মানুষের সঙ্গে তিনি স্লোগান দিচ্ছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইমন নামের অপ্রাপ্তবয়স্ক আরেকজন ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হয়। পায়ে লাগা গুলি কী করে প্রাণ নিল, সেটা পরিষ্কার করতে আরও বিস্তৃত অনুসন্ধানের প্রয়োজন। এছাড়া রমজান কাজী দৌড়ে পড়ে যাওয়ার পর তাকে প্রথমে মারধর করা হয় ও পিঠে গুলি করা হয়, এমন সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। প্রতিটি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিশদ তদন্তের দাবি রাখে।

হামলাকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে, তার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি পর্যবেক্ষণ দলটি। সাধারণ প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ “জনতার” মধ্য থেকে গুলি করতে দেখেছেন, এমন তথ্য দেননি। তবে সবাই দেশীয় অস্ত্র, বৃষ্টির মতো ঢিল ও ককটেল বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এত গুরুতর হবে জানা থাকলে তারা সেখানে যেতেন না। পরিস্থিতি কতটা নাজুক, সেটা তাদের অবহিত করা হয়নি। তারা আশঙ্কা করেছিলেন ঝামেলা হতে পারে, কিন্তু আক্রমণ থেকে বাঁচতে তাদের নিরাপত্তার দরকার হবে, এটা অনুমান করতে পারেননি। প্রশাসন যা করতে বলেছে, তারা সে অনুযায়ী তাদের গতিপথ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন।

ঘটনার পরের পরিস্থিতি
গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৩০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ১০ হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিশু-কিশোরদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে। ১৮টি শিশুকে যশোরের শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ অনেকেই গ্রেপ্তার ও হয়রানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

পর্যবেক্ষণ দলের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা আহত ব্যক্তিদের কারও সাক্ষাৎকার নিতে এবং সময়ের অভাবে ময়নাতদন্ত ও হাসপাতাল সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করতে পারেননি।

গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকার একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে ২৪ জুলাই ছয় সদস্যের যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, সে বিষয়ে এই বিবৃতিতে বলা হয়, কমিশনের সদস্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের অভিযোগ আছে। কমিশনের কার্যপরিধিতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হতাহত হওয়ার এবং গণগ্রেপ্তারের অভিযোগের তদন্তের কোনো উল্লেখ নেই, যা খুবই উদ্বেগজনক।

সুপারিশ
নাগরিক পর্যবেক্ষণ দলের বিবৃতিতে আটটি সুপারিশের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—

১- সমাবেশ ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের এনসিপির সমাবেশস্থলে ও দলটির নেতাদের ওপর হামলার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে হবে; নির্দোষ ব্যক্তিরা যেন ক্ষতির শিকার না হন এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশের অধিকার আর ক্ষুণ্ন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. আওয়ামী লীগের নানা পর্যায়ের কর্মী, নেতা ও সমর্থক এবং এনসিপির নেতা ও সমর্থকদের একে অপরের বিরুদ্ধে ১৬ জুলাই এবং তার আগে, নানা রকম উসকানিমূলক বক্তব্য, ভিডিও এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট পরিস্থিতিকে সংঘাতময় করে তুলেছিল। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষেই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য পরিহার করা প্রয়োজন।

৩. ঢালাও মামলা, আটক ও গ্রেপ্তারের প্রবণতা পরিহার এবং গ্রেপ্তার ও আটকের ব্যাপারে শিশুসহ সবার আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. প্রশাসনের সতর্কতায় বা সংকটের গভীরতা উপলব্ধিতে ঘাটতি ছিল। সে কারণে তাদের প্রস্তুতিও যথেষ্ট ছিল না। প্রস্তুতি যথাযথ থাকলে হয়তো গুলিবর্ষণ না করেও হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব হতো বা আরও আগে থেকে সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা যেত; যেন প্রাণঘাতী অস্ত্রে জনগণের জীবন না যায়। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পাওয়া যায়নি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে কি-না, তা যাচাই করতে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার করতে হবে। তদন্তের প্রতিবেদন দ্রুততম সময়ে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।

৫. অভিযুক্ত বাহিনী ও সংস্থাকে বাদ দিয়ে তদন্ত কমিশন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

৬. গোপালগঞ্জে বিপুলসংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী, দেশের নানা জায়গা থেকে পলাতক যুবলীগের নেতা ইত্যাদির আশ্রয় গ্রহণ, অঞ্চলটির অভয়াশ্রমে পরিণত হওয়াবিষয়ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যকে স্থানীয় জনসাধারণ ও পুলিশ, উভয় পক্ষ থেকেই গুজব বলা হয়েছে। কাজেই গোপালগঞ্জ বা অন্য যেকোনো অঞ্চলের মানুষ বা যেকোনো ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের মানুষের প্রতি প্ররোচনামূলক বক্তব্য পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।

৭. মানবাধিকার কমিশনের আইন সংশোধন করে পুনর্গঠন এবং এ প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করতে আশু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

৮. কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, শিশুদের অধিকার যেন রক্ষা পায়, সবাই যেন আইনের আশ্রয় পান, কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন এবং যেকোনো প্ররোচনার বিরুদ্ধে সরকার যেন দায়িত্বশীল থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এএ/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ